বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার আইসিইউ রোগীপ্রতি ব্যয় ৪ লাখ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৩৭

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিউ) বেডে থাকা রোগীদের পেছনে সরকার গড়ে প্রায় চার লাখ ব্যয় করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকনোমিক ইউনিট আয়োজিত সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শুরু থেকেই সরকার বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

তিনি জানান, করোনা প্রতিরোধে প্রতিটি আইসিইউ বেডের রোগীর পেছনে সরকারের গড়ে প্রায় চার লাখ টাকা ও সাধারণ বেডের রোগীর জন্য এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সময়মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে। সঠিক সময়ে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দ্রুত করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র একটি থেকে ১২০টি করা হয়েছে। অল্প দিনেই দেশের ৫৯টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

তিনি জানান, টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দেশের আড়াই কোটি মানুষের ফোন রিসিভ করে সরকারি সেবা দেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে সংক্রমণ কম হয়েছে। মৃত্যুহার কমে গেছে।

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট বাড়াতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা, নতুন লোকবল নিয়োগ দেওয়ার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

সেমিনারের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ‘বছরে ৫০ লক্ষ মানুষ দরিদ্র হচ্ছে ক্ষমতার বাইরের খরচের জন্য। এর মধ্যে ৬০ ভাগ মানুষ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দরিদ্র হয়ে যায়।

‘দেশে ৬১০টি সরকারি হাসপাতাল, ৯০ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক আছে। প্রয়োজনে আরও লোকবল বাড়ানো হবে। কিন্তু চিকিৎসা নিতে যেন মানুষ দরিদ্র হয়ে না যায়, এ ব্যাপারে আরও কাজ করতে হবে।’

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে এখন ৪৯টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে বলে সচিব জানান। তার ভাষ্য, এগুলোতে মানুষের চিকিৎসা নিতে বিদেশমুখিতা কমানোর জন্য যথোপযুক্ত উদ্যোগ রাখা হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. ভুপিন্দ্র আউলাখ।

এ বিভাগের আরো খবর